শিরোনাম
এলএনজি সরবরাহ বাড়বে
Passenger Voice | ১০:৩৯ এএম, ২০২৪-০৩-৩১
দুই মাসের বেশি সময় ধরে সংস্কারের পর অবশেষে দেশে ফিরছে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি। আজ বিকাল ৪টার মধ্যে টার্মিনালটি মহেশখালীতে পৌঁছার কথা জানিয়েছেন সামিট গ্রুপের শীর্ষ এক কর্মকর্তা। টার্মিনালটি পুনরায় প্রতিস্থাপন শেষে দ্রুতই এলএনজি সরবরাহে যুক্ত হবে।
সামিট করপোরেশন লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল খান বলেন, ‘সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি আজ বিকাল ৪টায় পৌঁছবে। এলএনজি স্টোরেজ ট্যাঙ্কগুলো ঠাণ্ডা হওয়ার পরপরই অপারেশন শুরু হবে।’
এদিকে সামিটের টার্মিনালটি দেশে ফেরায় জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ আরো অন্তত দৈনিক ৪০-৪৫ কোটি ঘনফুট বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাতে গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছে পেট্রোবাংলা।
দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য দুটি ভাসমান টার্মিনাল রয়েছে। এর একটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড। তাদের পরিচালিত টার্মিনালটি সংস্কারের (ড্রাই ডকিং) জন্য নয় সপ্তাহ সিঙ্গাপুরে ছিল। সিঙ্গাপুরের সিট্রিয়াম বেনোই ইয়ার্ডে সামিটের প্রথম ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) সংস্কারকাজ করা হয়।
এর আগে ১৩ মার্চ সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আয়েশা আজিজ খানের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেয়া হয়। এতে তার উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়, ‘আমরা সিঙ্গাপুরের সিট্রিয়াম বেনোই ইয়ার্ডে সামিটের প্রথম ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) ড্রাই ডকিং পদ্ধতি দেখে আনন্দিত। ১ লাখ ৩৬ হাজার কিউবিক মিটার স্টোরেজ ক্ষমতা এবং ৫০০ এমএমসিএফডি রিগ্যাসিফিকেশন সক্ষমতার টার্মিনালটি একেবারে নতুন অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।’
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ দৈনিক প্রায় ২৬৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে চালু থাকা এক্সিলারেট এনার্জির একটি টার্মিনাল দিয়ে বর্তমানে ৬২ কোটি ঘনফুটের কিছু বেশি এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে। সামিটের টার্মিনালটির অপারেশন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে মোট গ্যাসের সরবরাহ ৩০০ কোটি ঘনফুটের কাছাকাছি যাবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
এর আগে সামিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এলএনজি টার্মিনালটি ১৭ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হবে এবং চলতি মাসের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহে যুক্ত হতে পারে।
টার্মিনাল নির্মাণ চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর টার্মিনালের নানা যন্ত্রাংশ সংস্কার করতে হয়। এ কাজে প্রায় দেড়-দুই মাস সময় লাগে। তারই ধারাবাহিকতায় সামিটের টার্মিনালটি এতদিন সংস্কারে ছিল। টার্মিনাল ইউজ অ্যাগ্রিমেন্ট (টিএইউ) চুক্তি অনুযায়ী, সংস্কারে থাকাকালীন পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিল গ্রহণ করেনি সামিট।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.